অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা দ. আফ্রিকার


অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা দ. আফ্রিকার
প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয় করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লর্ডসের গ্র্যান্ড ফাইনালে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াকে ৫ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে তারা। টেস্টের চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৬৯ রান প্রয়োজন ছিল প্রোটিয়াদের, হাতে ছিল ৮ উইকেট। এদিন প্রথম সেশনের মধ্যে তিন উইকেট খোয়ালেও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়নি তাদের।২ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা আর ৪ রান যোগ হতে-ই হারায় অধিনায়ক টেম্বা বাভুমার উইকেট। কামিন্সের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে তার ব্যাটে এসেছে ৬৬ রান। পাঁচে নেমে ট্রিস্টান স্টাবস (৮) কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্টাম্প খুইয়েছেন মিচেল স্টার্কের বলে।তবে সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার এইডেন মার্করাম এদিনও স্বাচ্ছন্দ্যেই খেলেছেন। দলকে জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে ১৩৬ রানে থেমেছেন তিনি। কাইল ভেরেইনকে (৪*) সঙ্গে বাকি কাজটা সেরেছেন ডেভিড বেডিংহ্যাম (২১*)।এর মধ্য দিয়ে ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর প্রথম কোনো আইসিসি শিরোপা জয় করল দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রীড়া জগতে জুজু কাটানোর বছরে শিরোপাখরা কাটাল ক্রিকেটের চোকার্সরা।টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে টস জিতে অজিদের ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে দলটির দুই পেসার কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের আগুনে বোলিংয়ে মোটেই সুবিধা করতে পারেনি প্যাট কামিন্সের দল। ব্যু ওয়েবস্টার (৭২) এবং স্টিভ স্মিথের (৬৬) জোড়া ফিফটির পরও তাদের ২১২ রানেই থামতে হয়।রাবাদা ৫ এবং ইয়ানসেন ৩ উইকেট নিয়ে অজি ব্যাটিং লাইনআপের কোমর ভেঙে দেন।জবাবে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর দিয়ে রোলার কোস্টার চালিয়ে দেন অজি অধিনায়ক কামিন্স। ২৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের দিনের বেলায় দুঃস্বপ্ন দেখান তিনি। তার বোলিং তাণ্ডবে ১৩৮ রানেই থামে বাভুমার দল।নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসেও রাবাদার গতি আর সুইংয়ের সামনে অসহায়ত্ব ফুটে ওঠে অজি ব্যাটারদের। লেজের সারির ব্যাটার স্টার্কের হার না মানা ৫৮ এবং উইকেটকিপার অ্যালেক্স ক্যারির ৪৩ রানের ইনিংস দুটিতে চড়ে ২০৭ রান পর্যন্ত পৌঁছায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।এতে শিরোপা জয়ের জন্য প্রোটিয়াদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৮২ রান। শেষ পর্যন্ত মার্করামের সেঞ্চুরি এবং বাভুমার ফিফটিতে সহজেই সে লক্ষ্য তাড়া করতে সক্ষম হয়েছে দলটি। আর তাতে একবিংশ শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো কোনো আইসিসি শিরোপা উঁচিয়ে ধরার গৌরব সঙ্গী হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।