কচুরিপানা পরিষ্কারে, প্রাণ ফিরলো ফটকি নদীর


কচুরিপানা পরিষ্কারে, প্রাণ ফিরলো ফটকি নদীর
মাগুরা সদর ও শালিখা উপজেলার মধ্যে প্রবাহিত ফটকি নদী দীর্ঘ দিন ধরে কুচুরিপানায় নিমজ্জিত থাকায় নদী পাড়ের বসবাসরত মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ার পাশাপাশি মাছধরা সহ অন্যান্য জলজ প্রাণীর জীবন ধারণ কঠিন হয়ে পড়ে। যার ফলে বেশি ভোগান্তিতে ছিল নদীপাড়ের বসবাসরত মৎস্যজীবীরা। এ নদীর মাছসহ জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে এলাকার মৎস্যজীবিরা কয়েক দফা বৈঠক করেন। অবশেষে মৎস্যজীবিরা বিষয়টি বুঝতে পেরে একাত্মতা ঘোষণা করে লেগে যায় এ নদী পরিস্কারের কাজে। প্রায় শতাধিক লোক স্বেচ্ছায় নদী পরিস্কারে কাজ করেন। বর্তমানে নদীটি পরিস্কার হওয়ায় নদীর দু’পাশে বসবাসকারীরা সুফল ভোগ করতে চলেছে। এতে এলাকার জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জলাভূমি রক্ষায় দেড় কিলোমিটার এ নদীর কচুরিপানা পরিস্কার ও মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। এতে কয়েক শত মৎস্যজীবির জীবন জীবিকা সচ্ছল হতে চলেছে। মাগুরা সদর উপজেলার কেচুয়াডুবি (কৃষ্ণরামপুর) গ্রামের সরজিৎ রায়, মিঠুন বিশ্বাস, প্রশান্ত বিশ্বাস, সুর্বন বিশ্বাসসহ একাধিক মৎসজীবিরা জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ এ নদীতে কুচুরিপানা ভরে থাকায় মৎস্য জীবিরা অসহায় মানবেতর জীবন যাপন করছিলো। ফলে, নিরূপায় হয়ে নিজেরাই নিজ উদ্যোগে কুচুরিপানা পরিস্কার করতে লেগেছে। শালিখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বনি আমিন বলেন, শালিখা উপজেলার প্রাচীন এ নদীতে পূর্বে দেশীয় মাছের অভয়ারণ্য ছিল। এ অঞ্চলের মানুষ এ নদী থেকে মাছ ধরে বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করতো। প্রায় ৪৯ কিলোমিটার এ নদীর দু’ধারে অনেক গরীব অসহায় মানুষ বাস করছে। যাদের একমাত্র জীবিকার আশ্রয়স্থল এই ফটকী নদী। নদীর পরিবেশ রক্ষায় এলাকার মৎস্য জীবিরা নদী পরিস্কারের যে ভূমিকা রেখেছে আমি তাদের সাধুবাদ জানাই। এ বিষয়ে আমার সার্বিক সহযোগিতা রয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় আমরা সব সময় কাজ করছি। আমরা চাই আমাদের মাগুরার পরিবেশ সবুজের সমারোহে ভরে থাক । সেই সাথে নদ নদী, খাল বিলে ভরে উঠুক দেশীয় প্রজাতির মাছ।