নীতিমালা লঙ্ঘনে হজ চিকিৎসক দলের নার্সদের ৬ মাসের স্থগিতাদেশ


হজ যাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা লঙ্ঘন ও অনৈতিক সুযোগ করে হজ চিকিৎসক দল-২০২৪ এর কিছু সংখ্যক নার্সদের স্থগিতাদেশ জারি করেছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স খাঁন মো. গোলাম মোরশেদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিষ্পতি করার নির্দেশ দেন আদালত। গতকাল হাইকোর্ট ডিভিশনের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি মো. বজলুর রহমান কোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করলে মহামান্য আদালত ছয় মাসের জন্য স্থগিতাদেশ এবং রুল জারি করেন। আদালত সরকারি চাকুরী আইন ২০১৮, নবম অধ্যায়, সরকারি সেবা প্রধান নিশ্চিতকরণ, ২৫ ধারা বিধান সমূহ, নির্ধারিত সময় সরকারী সেবা প্রদান, অনুসরণ করিয়া আমার আবেদনটি নিষ্পত্তি করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। গোলাম মোরশেদ অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারির বিজ্ঞপ্তি এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা-২০১৮ অনুসরণ করে সমন্বিত হজ চিকিৎসক দল-২০২৪ সালের জন্য নার্স হিসেবে অন্তর্ভুক্তির তিনি আবেদন করেন। পরবর্তীতে ৯ এপ্রিল ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, হজ-২ শাখা থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে চিকিৎসক দল ৫৫ জন নার্সিং কর্মকর্তার নাম থাকলেও তার নাম দেখতে পাননি। পরে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, সমন্বিত হজ চিকিৎসক দলের মধ্যে অনেকেই অবৈধভাবে নীতিমালা ও বিজ্ঞপ্তি/ আবেদন সংক্রান্ত স্মারক বহির্ভূতভাবে অতিরিক্ত বয়স, নার্স না হয় ও নার্স হিসেবে অন্তর্ভুক্তি, এবং একই ব্যক্তি তিন থেকে আট বার স্থানীয় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতীত, আগ্রহী প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার ছাড়াই চিকিৎসক দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে সউদী গিয়েছেন। তাই গত ১২ এপ্রিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করার পর কোন ফলাফল না পেয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী শরণাপন্ন হই। হজ চিকিৎসক দল-২০২৪ এর তালিকা অনুযায়ী, চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে যারা হজে যাবেন তাদের চিকিৎসা সেবায় সরকারি খরচে সউদী আরব যাচ্ছেন ১৮৯ জন স্বাস্থ্য কর্মী। এর মধ্যে ৮৫ জন চিকিৎসক, ৫৫ জন নার্স, ২৪ জন ফার্মাসিস্ট এবং ২৫ জন ওটি/ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা ২০১৮ অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে দরখাস্ত করতে হবে। হজযাত্রী স্বাস্থ্যসেবা নীতিমালা ২০১৮ এর ৭ ধারায় আবেদনের যোগ্যতায় বলা হয়েছে-৭ এর ২ অনুসারে আবেদনকারীর বয়স হতে হবে ৩৫ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। ৭ এর ৩ ধারায় বলা হয়েছে একবার হজ স্বাস্থ্যসেবা দলের সঙ্গে সউদী আরব গিয়ে থাকলে পরবর্তী বছর সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করতে পারবেন না।