সিরাজগঞ্জ বেলকুচিতে পুলিশের উপস্থিতিতেই ভোট ছিনতাই ও মারধরের অভিযোগ


সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচনে পুলিশের সামনেই ভোট ছিনতাই ও আওয়ামীলীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন হাসান রকির বিরুদ্ধে। মারপিটের সময় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা মোহাম্মদ আলী আকন্দসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এছাড়া রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের অফিস ভাংচুর করে তারা।, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সকাল ১০ ঘটিকা থেকে স্কুল প্রাঙ্গণে ভোট শুরু হয়। অভিভাবক সদস্য চারজন, শিক্ষক প্রতিনিধি তিনজন, বিদ্যুৎসাহী সদস্য একজন, মোট ভোটার আট জন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদের বিপরীতে দুইজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন। একজন হলেন ঐ গ্রামের প্রবীণ শিক্ষক শাহজাহান আলী মাস্টার ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন হাসান রকি। ভোট গণনা শেষে ঘোষণার পূর্বেই ছাত্রলীগ সভাপতি রবিন হাসান রকির পরাজয় বুঝতে পেরে তার নেতৃত্বে দলবদ্ধ বহিরাগত লোকজন নিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ভোট ও রেজুলেশনের খাতা পুলিশের সামনেই ছিনতাই করেন।, এ সময় স্কুলের অফিস কক্ষে অবস্থানরত সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী আকন্দ, রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ, ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলামসহ মোট দশজনকে হামলা করে গুরুতর আহত করেন। এ বিষয়ে রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ বলেন, এমপির পি এস সেলিম সরকার ও রবিন হাসান রকির নেতৃত্বে পুলিশের সামনেই ভোট ছিনতাই ও আমাদের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে। পুলিশ নিরব ভূমিকা পালন করেন। এছাড়া ইউনিয়ন পরিশদের অফিস ও আমার ব্যবহিত গাড়ী ভাংচুর করে।, এ বিষয়ে নির্বাচনের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার নাজির উদ্দিন ভোট ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচন শেষে ভোট গণনার পর শাহজাহান আলী সরকারের কাছে রবিন হাসান রকি এক ভোটে পরাজিত হয়, রেজুলেশন শেষ করে ঘোষণা দেওয়ার আগেই এই সংবাদটা অভিভাবক সদস্য মনির বের হয়ে গিয়ে বাহিরে বললে সন্ত্রাসীরা এসে পুলিশের সামনেই আমার কাছে থেকে ভোট ও রেজুলেশন খাতা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।, বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিন হাসান রকি ভোট ছিনতাইয়ের ঘটনা অশিকার করেন। উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এঘটনাটা ঘটিয়েছে বলে তিনি জানান।, এ বিষয়ে বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, ভোট ছিনতাইয়ের সময় আমার ফোর্স সেখানে ছিলো না। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আছে।, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনিসুর রহমান বলেন, রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে ভোট ও রেজুলেশন খাতা ছিনতাইয়ের ঘটনাটি অবগত হয়েছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।