যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে বর্বর নির্যাতন করে হত্যার চেষ্টা


যৌতুকের টাকা না পেয়ে এক গৃহবধূকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের সময় হাত-পা ধরে অনুনয়-বিনয় ও কান্নাকাটি করার পরও নির্যাতন থেকে রক্ষা পাননি ওই গৃহবধূ। কুষ্টিয়ার আলামপুর ইউনিয়নের খয়েরপুর গ্রামে নির্যাতিত এই গৃহবধূর নাম মেঘলা খাতুন (৩০)। তিনি বলেন, রাতভর গবাদিপশুর মতো হাত-পা বেঁধে তার সারা শরীরে নির্মম নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৩রা মে শুক্রবার । একপর্যায়ে তাকে আটকে রেখে হাতুড়ে ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। পরে খবর পেয়ে মেঘলার পরিবার মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। সদর উপজেলার খয়েরপুর গ্রামের খাদেম মন্ডলের ছেলে শাকিল মন্ডলেট সঙ্গে পাশের মিরপুর উপজেলা পোড়াদহ ইউনিয়নের।চিথলিয়া গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে মেঘলা খাতুনের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদে একটি ১৪ মাসের সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকে স্বামী যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছে। দরিদ্র পরিবারের পক্ষে যৌতুকের টাকা দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হলে নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। তবুও থামেনি নির্যাতন। নির্যাতিত গৃহবধূর বাবা মিলন শেখ জানান, বিয়ের সময় জামাতাকে যৌতুক হিসেবে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, খাট, আলমিরাসহ প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল দেওয়া হয়। ভুক্তভোগী মেঘলা খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই কখনো নগদ টাকা, কখনো মোটরসাইকেল, কখনো মোবাইল ফোন বাবার বাড়ি থেকে এনে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এ ছাড়া অন্য কারো সাথে কথা বললেই সন্দেহের চোখে দেখে বিভিন্ন সময় তার উপর শারিরীক নির্যাতন চালাতো স্বামীসহ শ্বশুর বাড়িরর লোকেরা। ভুক্তভোগী পরিবার জানাই, থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি চলছে।