গাইনি ওয়ার্ডের যত অভিগাইনি ওয়ার্ডের যত অভিজ্ঞতাজ্ঞতা


দীর্ঘ দুই মাসের গাইনি ওয়ার্ড শেষ হলো আজকে। গাইনি এন্ড অবস ওয়ার্ড— মানুষকে দুনিয়াতে সুস্থভাবে আনার কারখানা এটা। মাকে নিয়ে গান, কবিতা, ওয়াজ প্রচুর শুনেছি আমরা। কিন্তু সন্তানকে পৃথিবীতে আনতে একটা মায়ের যে কষ্ট, স্ট্রেস তা চোখে না দেখলে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধার আরেকটা দুনিয়া অজানাই থেকে যাবে। প্রতিটা মানুষ যদি তার পৃথিবীতে আসার দৃশ্যটা দেখতে পারতো। একটা মায়ের ঘন্টার পর ঘন্টা লেবার পেইন, ডেলিভারির সময় গগনবিদারী চিৎকার না দেখলে, না শুনলে মা কি জিনিষ বুঝা সত্যিই অনেক দূরে থেকে যাবে। এজন্যই আল্লাহ বলছেন, \" তোমার কোনো কাজ কর্মে, কথাবার্তায়, আচরণে তোমার মায়ের মুখ থেকে যদি একটা \'আহ্\' শব্দও বের হয় তোমার আমলনামা আমার কাছে আগুনে পুড়া ছাইয়ের মতো। হে মানুষ! সাবধান, মায়ের সঙ্গে আচরণে সাবধান। কঠোর সাবধান।\" একদিন খাবার ভালো করে হজম না হলে পেট নিয়ে যে পরিমাণ অস্বস্তি হয় আমাদের। চিন্তা করেন একটা মা ২ কেজি ওজনের একটা জীবিত বাচ্চাকে ৯ মাস পেটে ধরে পরিবারের যাবতীয় সব কাজ করে কি পরিমাণ অস্বস্তি নিয়ে আপনাকে আমাকে পৃথিবীতে এনেছে। আহা মা! শুধু কি তাই? মায়েদের অসুখ কতটা বিস্তৃত হইলে পরে একটা পুরো সাবজেক্টই দাড়ায়া যায় মায়েদের একটা পার্টের অসুস্থতা নিয়ে। বেডি (নারী) মানুষ বইলা একটা খ্যাক করে হাসি দেওয়া সহজ হইলেও সুস্থভাবে চলতে একটা নারীর একান্ত ব্যক্তিগত সংগ্রামটা এতোটা সহজ না। ভয়ানক পরিশ্রম আর ত্যাগ স্বীকারের। চিত্তের গভীর থেকে আসমান সমান শ্রদ্ধা সকল মায়েদের। নারীদের নিয়ে ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম রহি. একটা কথা আছে— \" দুনিয়াতে মানুষের সংখ্যায় নারীরা অর্ধেক। আর বাকী অর্ধেকের জন্মও তারাই দিয়েছে। সুতরাং নারীরাই পুুরো পৃথিবী।\" লেখক: মো. কামরুল ইসলাম শিক্ষার্থী, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর