ঝালকাঠির বাজার থেকে সব ধরনের মুরগি উধাও


রমজানের ষষ্ঠ দিনে ঝালকাঠির মানুষ বিপাকে পড়েছেন মুরগি নিয়ে। শহরের বাজারে হঠাৎই সংকট তৈরি হয়েছে সবধরনের মুরগির। ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালিসহ কোনো জাতের মুরগিই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। কিছু কিছু স্থানে অল্প মুরগির দেখা মিললেও দাম চড়া। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মুরগির দাম নির্ধারণ করে দেওয়ায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। রোববার সকাল থেকে কোনো মুরগিই পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। মুরগি কিনতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন ক্রেতারা। বিক্রেতারা জানান, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেধে দেওয়া দামের কারণে ব্রয়লার, লেয়ার ও সোনালি মুরগি পাইকারি বিক্রি করছেন না খামারের মালিকরা। তাই বাজারের দোকানগুলোতে মুরগি পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারি যে দামে মুরগি কেনা হয়, প্রশাসন তার চেয়েও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে নির্দেশ দিয়েছে। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বেধে দেওয়া দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে বলেও জানান বিক্রেতারা। তাই আপাতত মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন বিক্রেতারা। মুরগির খামারিরা জানান, মুরগির খাবার ও ওষুধের দাম বেড়েছে কয়েকগুণ। এদিকে শ্রমিকের মজুরিও বেড়েছে। তাই কম দামে মুরগি বিক্রি করলে লোকসান গুনতে হবে। এদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, অল্পদামে ব্রয়লার মুরগি সব ক্রেতারই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিক্রেতারা বাজারে মুরগি উঠাচ্ছে না। এতে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। মুরগি কিনতে গিয়ে না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যেতে হয়েছে ক্রেতাদের। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সরকারের বেধে দেওয়া দামেই মুরগি বিক্রি করতে হবে, বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুরগি বিক্রেতা বাবুল হোসেন বলেন, সকালে খামারে মুরগি কিনতে গেলে ব্রয়লার পাইকারি ১৯৫, লেয়ার ২৯০ ও সোনালি ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রির কথা বলেছেন মালিকরা; কিন্তু বাজারে সরকার নির্ধারণ করেছে কম দামে, তাই মুরগি বিক্রি বন্ধ রেখেছি। ঝালকাঠি শহরের লঞ্চঘাট এলাকার খায়রুল আলম বলেন, রমজানে অল্পদামে মাংস বলতে আমরা ব্রয়লার মুরগি কিনে থাকি; কিন্তু আজকে বাজারে গিয়ে কোনো মুরগিই পাইনি। হঠাৎ করে মুরগি উধাও হয়ে গেছে। খালি হাতেই বাসায় ফিরতে হয়েছে। ঝালকাঠির কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক আব্দুল মতিন বলেন, মুরগিসহ ২৯টি কৃষিপণ্যের দাম ভোক্তা পর্যায়ে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বেশি দামে বিক্রি করা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।