প্রতাপ সাহা রোডে পাওনা টাকা চাওয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলা নারীসহ আহত ৫
আলমগীর বাবু, চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধি, চাঁদপুর
চাঁদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁদপুর শহরের প্রতাপসাহা রোডে কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দুই নারীসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। আহতরা হলো ব্যাবসায়ী কৃষ্ণ গোপালের মা বানী সরকার (৯০) ভাই বাদল সরকার অমিত সরকার,বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় শহরের ১০ নং ওয়ার্ড নতুন আলিম পাড়া প্রতাপ সাহা রোড ৬নং ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী কৃষ্ণ গোপালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে কিশোর গ্যাং প্রান্ত ও গোপালের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ২জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও সাতজনকে আসামি করে সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ করায় বাদিকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে ও দেশ ছারা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল ৪ সেপ্টেম্বর সকালে দোকানে বাকি চাওয়ায় বিবাদী প্রান্ত সকালে বাদির দোকানে এসে এই এলাকায় ব্যবসা করতে ও বসবাস করতে হলে আমাদের বাকি দিতে হবে নাহলে এই এলাকায় থাকতে পারবে তো দুরের কথা দেশ ত্যাগে বাধ্য করা হবে বলে হুমকি দিয়ে যায় ১ নং বিবাদি প্রান্ত। এবং স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। কিশোর গ্যাং তাদের ফেইসবুকে হুমকি দেয় এবং তারা বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করে। গত ৪ সেপ্টেম্বর রাতে প্রান্তর নেতৃত্বে গোপাল, সাব্বির, শুভ খান সহ আরও ৭/৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা কৃষ্ণ গোপালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাদল সরকারের উপরএবং বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা নগদ অর্থসহ প্রায় ৮০ হাজার টাকার মালামাল লুট এবং বসত ঘর ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার বাদি কৃষ্ণ গোপাল বলেন, থানায় অভিযোগ করায় আমাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে কিশোরগ্যাংয়ের হামলার ঘটনায় তিব্র নিন্দা ও জরিতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন নতুন আলিমপাড়া সোসাইটির সভাপতি প্রকৌশলী সরকার গোলাম মোস্তফা।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাহার মিয়া জানান, কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় কৃষ্ণ গোপাল নামের এক ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে, তদন্ত শেষে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দ্রত আইনের আওতায় আনা হবে। কিশোরগ্যাং দমনে আমাদের অভিযান চলমান।
