সংকটে পড়বে বেসরকারি খাত
অনলাইন নিউজ ডেক্স

সরকার যদি ব্যাংকিং খাত থেকে অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণে যায়, তাহলে তা বেসরকারি খাতের ঋণ প্রাপ্তি কঠিন করে তুলবে বলে মনে করেন মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান তানভিরুর রহমান। তিনি বলেন, সরকার যদি এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে তাহলে দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়তে পারে। গতকাল রাজধানীর গুলশানে এমসিসিআই কার্যালয়ে ‘বাজেট অন্তর্দৃষ্টি : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার দিগন্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ আলোচনার আয়োজন করে এমসিসিআই এবং পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (পিআরআই)। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআইয়ের গবেষণা পরিচালক ড. বজলুল হক খন্দকার।কামরান তানভিরুর রহমান বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন বাংলাদেশ উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বিনিয়োগ স্থবিরতা, ঋণের উচ্চ সুদহার এবং এলডিসি উত্তরণের মতো বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এ প্রেক্ষাপটে বাজেটের দিকনির্দেশনা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।তিনি জানান, এমসিসিআই প্রস্তাবিত কয়েকটি কর সংস্কার বাজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে পারকুইজিট সীমা ১০ থেকে ২০ লাখ টাকায় উন্নীত করা, উৎসে কর রিটার্নের সময়সীমা মাসিকের পরিবর্তে ত্রৈমাসিক করা এবং উৎসে কাটা ভ্যাট সমন্বয়ের সময়সীমা তিন থেকে ছয় করপর্যায়ে বাড়ানো। এসব সিদ্ধান্ত ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গঠনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে তিনি মত দেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী, পিআরআই চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার, এমসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাবিবুল্লাহ এন. করিম ও ট্যাক্সেশন কমিটির চেয়ারম্যান এফসিএ হাসান মাহমুদ।
