উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরাইলি সেনারা
অনলাইন নিউজ ডেক্স
বর্বর অভিযানের পর উত্তর গাজার সর্বশেষ পরিচালিত কামাল আদওয়ান হাসপাতালটি ইসরাইলি সামরিক বাহিনী পুড়িয়ে দিয়েছে। এমনিতেই অবরুদ্ধ উপত্যকায় চিকিৎসাসেবা সীমিত, সেখানে ইসরাইলি সেনাদের জোরপূর্বক অগ্নিকাণ্ড নির্মম ঘটনা।শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ কয়েক ডজন কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে গেছে। এছাড়া সেনারা জোর করে চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ করায় অনেক রোগীর ভাগ্যে কী হয়েছে তা অজানা।জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, ইসরাইল গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পরিকল্পিতভাবে ভেঙে ফেলে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে।সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ডব্লিউএইচও বলেছে, প্রাথমিক খবরে এ অভিযানে হাসপাতালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালানোর কথা জানায় ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। তাদের দাবি, হাসপাতালটির হামাসের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতাল পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনাকে ‘সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধ’ বলে মন্তব্য করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। টেলিগ্রামে এক বার্তায় সংগঠনটি বলেছে, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও কিছু পশ্চিমা দেশের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে গাজায় যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত করছে দখলদার ইসরাইলি প্রশাসন।এদিকে কামাল আদওয়ান হাসপাতালের অভ্যন্তরে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ইসরাইল চিকিৎসা কেন্দ্রে আক্রমণ করার জন্য রোবট ব্যবহার করছে এবং এর ফলে বিশাল বিস্ফোরণ ঘটেছে যা রোগীদের এবং চিকিৎসা কর্মীদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটায়।ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম সংস্থা ইয়ানেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিস্ফোরক ভর্তি রিমোট-নিয়ন্ত্রিত সাঁজোয়া যান (এপিসি) গাজার এমন এলাকাগুলো পরিষ্কার করার জন্য ইসরাইলি সামরিক বাহিনী দ্বারা তৈরি একটি নতুন কৌশল।দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের টেমের কারমাউত বলেছেন, ইসরাইল গাজায় তার বিধ্বংসী যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি মোটেই পরোয়া করে না।তিনি বলেন, ইসরাইলের জন্য যুদ্ধ মানে যথারীতি ব্যবসা। অথবা, এই স্বাভাবিক গণহত্যা ইসরাইলিদের জন্য একটি দৈনন্দিন রুটিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, কারণ তারা বোঝে যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের থামাতে অক্ষম।
ডোনেট বাংলাদেশ সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।