প্যানেল চেয়ারম্যানের ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগ


ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভোলার মোড় এলাকায় এক ইউপি সদস্যের ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউপির ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম এ অভিযোগ করেন। তিনি ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি বলেও জানা গেছে। মনিরুল ইসলাম কন্যাদহ গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে।তিনি দাবি করেন, শুক্রবার(২৭ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে এসে একদল দুর্বৃত্ত তার ওপর অতর্কিত গুলিবর্ষণ করে। তবে সেটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তার ভাষ্য, চাঁদপুর ইউনিয়নের ভোলার মোড়ে তিনি একটি চায়ের দোকানে বসা ছিলেন। সেখান থেকে ৭-৮জন সঙ্গীসহ তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন। পথেই মাস্ক পরহিত দুই ব্যক্তি তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তবে সেটি তার গায়ে লাগেনি।তিনি বলেন, আমি বর্তমানে ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। এ কারণে কেউ আমার ওপর ক্ষুদ্ধ হতে পারে। সেই আক্রোশ থেকে আমাকে হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে।ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেনের ভাষ্য, ওই এলাকায় কোনো গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। শুনেছি ফাঁকা মাঠে নির্জন এলাকায় পটকাজাতীয় কিছুর শব্দ হয়েছে।তিনি দাবি করেন, আমি বৈধ চেয়ারম্যান হওয়ার পরও আমাকে পরিষদে বসতে দিচ্ছেন না ওই প্যানেল চেয়ারম্যান। হয়ত আমাকে ফাঁসানোর জন্য এই গুলিবর্ষণের মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের প্রতি দাবিও জানান তিনি।এ বিষয়ে হরিণাকুণ্ডু থানার ওসি এম এ রউফ খান বলেন, এমন খবর শুনে সত্যতা নিশ্চিতের জন্য সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুর রহমান জানান, সেখানে পটকাজাতীয় কিছু ফুটতে পারে। তিনি বলেন, ওই ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোসেন সম্প্রতি জামিন নিয়ে বের হয়েছেন। তিনি পদে ফিরতে চাচ্ছেন। কিন্তু মনিরুল তাকে পাত্তা দিচ্ছে না। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ রয়েছে। বিষয়টি হয়ত সাজানো নাটকও হতে পারে। তারপরও তদন্তে পুরো বিষয়টি বেরিয়ে আসবে।এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ওই এলাকায় মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা।