‘ইরান বা হিজবুল্লাহ কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়’


মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কট নতুন মোড় নিয়েছে। গত শনিবার ইসরাইলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই অঞ্চলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই হামলার প্রতিশোধ নিতে ইসরাইল কী পদক্ষেপ নেয় সেটি নিয়ে শঙ্কা বিরাজ করছে। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে তেহরানের কনস্যুলেটে প্রাণঘাতি হামলার প্রতিশোধ নিতে হামলা চালায় ইরান। প্রতিউত্তরে ইসরাইল হামলা চালালে মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইরান বা লেবানন কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে মন্তব্য করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এমনকি আঞ্চলিক সংঘাত সৃষ্টি হলে তা ‘কারো স্বার্থেই ভালো হবে না’ বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই বর্তমানে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয় বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি প্রধান ফরাসি দৈনিক লে মন্ডে’কে বলেছেন। সপ্তাহান্তে ইসরাইলে ইরানের হামলা সম্পর্কে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘আমাদের বেশ কয়েক দিন আগে সতর্ক করা হয়েছিল।’ জোসেপ বোরেল আরও বলেছেন, ‘আক্রমণের পর, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমাকে বলেছিলেন- তারা শুধুমাত্র সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, তিনি আমাকে বুঝিয়েছেন- এটি ছিল কেবল নিয়ন্ত্রিত প্রতিক্রিয়া। আপনি যখন ক্ষতি করতে চান, তখন আপনি এমন কোনো ড্রোন পাঠাবেন না যেটি আঘাত হানতে ছয় ঘণ্টা সময় নেয়।’ তার ভাষায়, ‘বর্তমানে, হিজবুল্লাহ বা ইরান কেউই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত নয়।’ ইইউ পররাষ্ট্রনীতি দেখভালের এই প্রধান জোর দিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাজনৈতিক লক্ষ্য হলো উত্তেজনা এড়ানো। তিনি উল্লেখ করেছেন, আঞ্চলিক সংঘাত ‘কারো স্বার্থে, বিশেষ করে গাজার স্বার্থে ভালো কিছু নয়’। জোসেপ বোরেল জোর দিয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনীতি এবং ঐক্য ছাড়া অন্য কোনো ক্ষমতা নেই, যদিও জার্মানিসহ কিছু সদস্য দেশের ইসরাইলের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। এদিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিও জানিয়েছেন, ইসরাইলে তেহরানের হামলা শেষ হয়েছে। নতুন করে হামলার পরিকল্পনা নেই। মূলত গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়া হিসাবে ইসরায়েলে রাতারাতি ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে তেহরান। এর বেশিরভাগই ইরানের অভ্যন্তর থেকে নিক্ষেপ করা হয়।