ঈশ্বরদীতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পরিত্যক্ত গ্রেনেড উদ্ধার


পাবনার ঈশ্বরদীতে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের একটি গ্রেনেড পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। পুকুর খনন করতে গিয়ে পরিত্যক্ত এ গ্রেনেডের সন্ধান পাওয়া যায়। গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে স্থানটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরদী পৌর শহরের এমএস কলোনি তিনতলা এলাকায় খননকাজ চলমান একটি পুকুরে পরিত্যক্ত গ্রেনেডটির সন্ধান পাওয়া যায়। এক শিশু সেটিকে খেলনা ভেবে প্রথমে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রেলওয়ের জমিতে খোকন নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বেশ কিছু দিন ধরে এমএস কলোনির তিনতলা মাঠে পুকুর খননের কাজ করছেন। বুধবার শ্রমিকরা কাজ শেষ করে বিকালে চলে যান। সেই সময় তৃতীয় শ্রেণি পড়ুয়া স্বর্ণাবাড়ির পেছনে গিয়ে ওপরের অংশে লাল রঙের বস্তুটি খেলনা ভেবে বাড়িতে নিয়ে যায়। তার বাবা সুবাস কুমার দাস ওটা গ্রেনেড বুঝতে পেরে পূর্বের স্থানে রেখে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানান। ঈশ্বরদী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, রাতে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এলাকাটি পাকবাহিনীর অধ্যুষিত ছিল। ওই সময় গ্রেনেডটি যে কোনোভাবে ঘটনাস্থলে অবিস্ফোরিত হয়ে মাটিচাপা পড়েছিল। মাটি খনন করায় সেটি বের হয়ে এসেছে। ওসি আরও জানান, বর্তমানে গ্রেনেডটি মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। এলাকাটি আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই সবুজ আলীর তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। বোম নিষ্ক্রিয় করার জন্য র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দলটি ঘটনাস্থলে এসে গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করার কথা রয়েছে।