টিকা নিয়েও হতে পারে করোনার নতুন ধরন জেএন.১


সম্প্রতি করোনার নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ শনাক্ত হয়েছে দেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) জেনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণা বলছে, দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পরও যে কেউ এটিতে আক্রান্ত হতে পারে। ওই গবেষণায় আরও দেখা গেছে, বাংলাদেশে এর আগে কখনো এই ভ্যারিয়েন্ট ছিল না। মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ উপাচার্য ও গবেষণার প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই বছরের শুরুতে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট জেএন.১ এর কথা জানায়। এর ভিত্তিতে জানুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত প্রাপ্ত কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর স্যাম্পল নিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়। আমাদের গবেষণায় আমরা মোট তিনজন রোগীর দেহে নতুন এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, এই সাব-ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গগুলো অন্যান্য ধরনের মতোই। রোগীদের উপসর্গ মৃদু হলেও জ্বর, সর্দি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা এবং হালকা দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব জানার জন্য গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার বিকল্প নেই। জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের কারও দেশের বাইরে থেকে আসার ইতিহাসও নেই। বিএসএমএমইউ’র পর্যবেক্ষণে আরও উঠে আসে-নতুন জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত রোগীর লক্ষণগুলোর তীব্রতা কম। সব জেএন.১ সাব-ভ্যারিয়েন্ট আক্রান্ত রোগীর কমপক্ষে দুই ডোজ টিকা দেওয়া ছিল। তৃতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়েছে এরকম রোগীরও শরীরে পাওয়া গেছে। এছাড়াও মৃদু উপসর্গের কারণে এই সাব-ভ্যারিয়েন্ট রোগীদের থেকে দ্রুত সংক্রমণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এতে আক্রান্তদের তুলনামূলক কম উপসর্গ হয় এবং হাসপাতালে ভর্তির হার কম। আরও ৬৭ জনের করোনা শনাক্ত: দেশে সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৬৭ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে এ সময়ে ভাইরাসটিতে কারও মৃত্যু হয়নি। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০ লাখ ৪৮ হাজার ৭ জনের। এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২৯ হাজার ৪৮৬ জন। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৭৯২টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। ঢাকা শহরসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ ২৪ ঘণ্টায় ২৫ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৫ হাজার ১১৬ জন।