নাটকীয়তার ম্যাচে শেষ বলে জয় কলকাতার


ডেথ ওভারে ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী হলো কলকাতা নাইট রাইডার্স ও সানরাইজার্স হায়দাবাদের লড়াইয়ে। তাতে দুই দলই রান উৎসব করেছে। ৪১২ রানের ম্যাচে শ্বাসরুদ্ধকর প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর কলকাতা হেসেছে শেষ হাসি। স্বাগতিকরা ৪ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদকে। আগে ব্যাটিং করে কলকাতা করে ৭ উইকেটে ২০৮ রান। কেকেআরের দেওয়া ২০৯ রানের পাহাড় তাড়ায় শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য হায়দরাবাদের লক্ষ্য ছিল ৬০ রান। ক্রিজে তখন সেট ব্যাটসম্যান বলতে গেলে হেনরিখ ক্লাসেন। ১৮ তম ওভারে বরুণ ধাওয়ানকে দুই ছক্কা মেরে আশা জিইয়ে রাখলেন। নতুন ব্যাটিংয়ে নামা শাহবাজ হাঁকালেন আরও এক ছয়। ১৮ তম ওভারে এলো ২১ রান। ১৯তম ওভারে কলকাতা অধিনায়ক বল তুলে দিলেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামি তথা প্রায় ২৫ কোটি রুপির মিচেল স্টার্ককে। আগের তিন ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন। তবে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে নিজের শেষ ওভারটা করতে এসে যেন আরও গুবলেট বাঁধিয়ে ফেললেন। ক্লাসেন ও শাহবাজ দুজনে মিলে চার ছক্কা হাঁকালেন টার্ককে। এক ওভারেই রান উঠল ২৬! অজি এই তারকা পেসার নিজের কোটা শেষ করলেন ৪ ওভারে ৫৩ রানে। ওভার প্রতি ১৩.৭৫। যদিও উইকেট পাননি একটিও। শেষ ওভারে যখন জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার, তখনো হারশিতের প্রথম বলে নেন ছয়, পরের বলে ১। তৃতীয় বলে শাহবাজ আউট হওয়ার পর পঞ্চম বলে স্লোয়ারে তাল মেলাতে না পেরে ক্যাচ দেন ক্লাসেনও। শেষ বলে জয়ের জন্য পাঁচ রান দরকার ছিল হায়দরাবাদের। কিন্তু অধিনায়ক কামিন্স বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি। ডট বল দিয়ে কেকেআরকে মাত্র ৪ রানে জেতালেন রানা। ৪ ওভারে মাত্র ৩৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের নায়কতো এই তরুণ বোলারই! সংক্ষিপ্ত স্কোর: কলকাতা: ২০ ওভারে ২০৮/৭ (রাসেল ৬৪*, সল্ট ৫৪, রমনদীপ ৩৫; নটরাজন ৩/৩২, মারকান্দে ২/৩৯)। হায়দরাবাদ: ২০ ওভারে ২০৪/৭ (ক্লাসেন ৬৩, অভিষেক ৩২; হারশিত ৩/৩৩, রাসেল ২/২৫)। ফল: কলকাতা নাইট রাইডার্স ৪ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আন্দ্রে রাসেল।