মাগুরায় টিনের চালে ‘ওয়াটার কুলিং সিস্টেম’


চৈত্রের সংক্রান্তি সবেমাত্র পেরিয়ে বৈশাখের আনাগোনা আকশে বাতাসে আরম্ভ হয়েছে, সেই সাথে গ্রৃষ্মকাল এর দাব-দাহের তান্ডব শুরু হয়েছে পরিবেশে, একই সাথে বেড়েছে বৈশ্বিক উষন্তার পারদ। জন-জীবনে নেমে এসেছে প্রায় অচলাবস্থা, গরম হাওয়ায় তাপমাত্রার পারদ ৪২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। আবহাওয়াবিদ জানিয়েছে আরও কিছুদিন এরকম তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। স্বাধারণ মানুষ তার সাধ্যের মধ্যে যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এরকম উষ্ণ পরিস্থিতির মোকাবেলায়, কোথায় একটু শ্যামল গাছের ছায়া সেই খোজে দিশেহারা। সবার অপেক্ষা কখন বুঝি আকাশ ফুড়ে নামবে স্বস্তির বৃষ্টি, আবহাওয়া অফিস সুত্র জানিয়েছে দিনে ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে। এইদিকে মাগুরা জেলার ইসলামপুর পাড়া এলাকায় অবস্থিত মুসলিম হোটেল (রেজিস্ট্রি অফিসের পিছনে) বুদ্ধিমত্তার অবাক করা পদ্ধতি অবলম্বনে তৈরি করেছে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ যা তাদের দোচালা টিনের উপর অবস্থিত। প্রক্সুক্তিটির নাম দিয়েছেন ‘ওয়াটার কুলিং’ , যা মাগুরা বাসীর কাছে এক অবাক বিষ্ণয় ও ব্যাপক সাড়া ফেলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। উক্ত হোটেল ব্যবসায়ী ‘রবিউল ইসলাম’ বলেন সারা জেলা জূড়ে তাপমাত্রা যেখানে ৪০ থেকে বেড়ে ৪২০ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উন্নীত হয়েছে সেখানে বলাই বাহুল্য আমাদের প্রতিষ্ঠানের ঘরের ভিতর তাপমাত্রা মাত্র ২৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস থেকে ২৮০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর ভিতর রাখতে পেরেছি। তিনি আরও যোগ করেন- এইবারের খরতাপে মানুষ হোটেলে খাবার খেতে আসতে চাইছিলো না , তাই অনেক ভাবনা চিন্তা করে মাত্র ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘ওরাটার কুলিং সিস্টেম’ যা তাদের পূর্বপুরুষদের রেখে যাওয়া ব্যবসা আরও সফলভাবে পরিচালনা করতে অগ্রনী ভূমিকা রেখেছে। বাইরে থেকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে পাইপ থেকে পানির ছিটা ঢেউটিনকে ভিজিয়ে দিচ্ছে অনবরত যা বেয়ে বৃষ্টির মত ঝরে পড়ছে। আগে থেকে ‘মুসলিম’ হোটেলের খাবারের স্বাদের মান ও তাদের উত্তম আচরণের কারণে দুপুর গড়াতেই মানুষের আনা-গোনা শুরু হয়েছে যায়, এভাবে বেলা বাড়লে প্রচন্ড ভীড় লেগেই থাকে, তাই অত্র হোটেল মালিক ‘রবিউল’ তার কাস্টমারদের খাবার গ্রহণকে আরও স্বস্তিদায়করতেই এই ব্যতিক্রমী উদ্ভাবন এর পথে হেঁটেছেন। তাই তার ব্যবসার প্রসারও আগের থেকে বেড়েছে।