২৮ দলকে ইসির তাগিদ, দিতে হবে ভোটে ব্যয়ের হিসাব


দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া দলগুলোকে তিন সপ্তাহের মধ্যে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দিতে তাগিদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৭ জানুয়ারি ভোটের পর আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে দলীয় নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এবার ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে; এখন পর্যন্ত কোনো দলই নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়নি। নির্বাচন শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যয় বিবরণী নির্বাচন কমিশনে দাখিল করার যে বিধান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে রয়েছে, সে কথা বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে মনে করিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বর্তমানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৪৪টি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি দল এবারের ভোটে অংশ নিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৬টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। এবার শতাধিক প্রার্থী দিয়েছে– এমন দলগুলোর মধ্যে রয়েছে আওয়ামী লীগ (নৌকা) ২৬৬ জন, জাতীয় পার্টি (লাঙ্গল) ২৬৫ জন, তৃণমূল বিএনপি (সোনালী আঁশ) ১৩৫ জন ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (আম) ১২২ জন। আর সর্বনিম্ন চার জন প্রার্থী দিয়েছে এমন দলও রয়েছে। প্রার্থী অনুপাতে দলগুলোর ৭৫ লাখ টাকা থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের সুযোগ ছিল। ৫০ জনের কম প্রার্থী হলে ৭৫ লাখ টাকা, ৫০-১০০ প্রার্থী হলে দেড় কোটি টাকা, ১০১-২০০ প্রার্থী হলে ৩ কোটি টাকা এবং ২০১ প্রার্থীর বেশি হলে সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ের সুযোগ রয়েছে আইনে। ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালু করার পর থেকে দলের বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ না করলেও নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব প্রকাশ করে আসছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলীয় ব্যয়ের হিসাব না দিলে ৩০ দিন সময় দিয়ে সতর্কতা নোটিস, এরপর ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে আরও ১৫ দিন সময় এবং বর্ধিত সময়েও হিসাব জমা দিতে ব্যর্থ হলে নিবন্ধন বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে ইসির। সবশেষ একাদশ সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, বিএনপির ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ও জাতীয় পার্টি মাত্র সাড়ে ৪ লাখ টাকা দলীয় ব্যয় দেখিয়েছিল। আবার একটা পয়সাও খরচ করেনি এমন সাতটি দলও ছিল। তাদের ভাষ্য ছিল, দলীয় অনুদান ছাড়াই তাদের প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের ব্যয় সামলেছেন।