ইসরাইলকে সহানুভূতি জানাতে গিয়ে যে পরামর্শ দিয়ে এলেন ডেভিড ক্যামেরন


গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ ১১ জন নিহত হন। ইসরাইল আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরাইলকেই দায়ী করে। সেই হামলার প্রতিশোধ নিতেই গত রোববার ভোররাতে ইসরাইলে ৩০০টিরও বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে তেহরান। এ হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইসরাইল। আজ বুধবার ইসরাইল সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা করেন ব্রিটেনের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন। তিনি নেতানিয়াহুকে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া সীমিত করার আহবান জানান। জেরুজালেমে পৌঁছার পর ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীকে ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি এখন খুবই উদ্বেগজনক, তাই উত্তেজনা যাতে আর না বাড়ে সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। জেরুজালেম পৌঁছার পর সাংবাদিকদের ডেভিড ক্যামেরন আরও বলেন, ইরানের ভয়াবহ হামলার সংহতি জানাতেই আমি এখানে এসেছি। পরবর্তীতে কী ঘটতে পারে সেই সম্পর্কে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি এমন একটি উপায় বের করতে পারব, যাতে উত্তেজনা কমানো যায়। এক্ষেত্রে আমাদের আরও স্মার্ট হতে হবে। ক্যামেরন বলেন, আমার মনে হয় ইরান ইস্যু বাদ দিয়ে হামাসের দিকে ফিরে আসা উচিত, জিম্মিদের দিকে ফিরে আসা উচিত, তাদের কিভাবে মুক্ত করা যায়, তাদের কিভাবে সাহায্য করা যায় সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত এবং গাজার সংঘাত কিভাবে সমাধান করা যায় সেই চিন্তা করা উচিত। ডেভিড ক্যামেরন ইসরাইল সফরে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাথে দেখা করার আগে, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাটজের সাথে দেখা করেন।