বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন লাইনচ্যুত, শিডিউল বিপর্যয় চরমে


টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব স্টেশনে ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল চলাচলে চরম শিডিউল বিপর্যয় হয়েছে। সর্বোচ্চ ৯ ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন চলাচল করছে বলে জানা গেছে। সোমবার রাতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়। এতে ওই রুটে প্রায় ৫ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার ভোর থেকে চলাচল শুরু হলেও রাজধানীর কমলাপুর ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে অধিকাংশ ট্রেনই সময়মতো ছেড়ে যেতে পারেনি। কমলাপুর রেল স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকে ধূমকেতু এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার, নীলসাগর, রংপুর এক্সপ্রেস, জামালপুর এক্সপ্রেস দেরিতে ছেড়ে গেছে। সর্বশেষ ১২ ঘণ্টায় লালমণি এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, রংপুর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, কুড়িগ্রাম ৭ ঘণ্টা ৪০ মিনিট, নীলসাগর ২ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট, ধূমকেতু ৩ ঘণ্টা ১০ মিনিট, পদ্মা ৫ ঘণ্টা ২৫ মিনিট, পঞ্চগড় ৯ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট, চিত্রা ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিলম্বে ছেড়ে গেছে। এ বিষয়ে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার কারণে পাঁচ ঘণ্টা সময় লাগে। সেটা এখনো ঠিক হয়নি। এ জন্য কিছু ট্রেন বিলম্বে ছাড়ছে। উল্লেখ্য, রাত ৯টার দিকে টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব রেলস্টেশন এলাকায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হলে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। লাইনচ্যুত বগি উদ্ধারের ৫ ঘণ্টা পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষতিগ্রস্ত বগি রেল প্রকল্পের ক্রেনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়। রাত ২টার পর থেকে রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। টাঙ্গাইল রেলওয়ে পুলিশের এসআই আলী আকবর বলেন, ট্রেনটি দুর্ঘটনার পর প্রথমে বগিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত বগি ক্রেন দিয়ে ওপরে তুলে লাইনে তোলা হয়। এরপর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে পড়া ট্রেনগুলো ছেড়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর আশরাফ জানান, পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রা বিরতি শেষে ঢাকায় যাওয়ার সময় একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। উদ্ধারকারী ট্রেন এসে চাকা অপসারণ করলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।