রাস্তা না থাকলেও নির্মাণ হচ্ছে কোটি টাকার সেতু!


রাস্তা ছাড়াই টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কয়েড়া খালে কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে-সেতু নির্মাণের পর খালের দুইপাশে রাস্তা তৈরি করা হবে। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের পশ্চিম কয়েড়া গ্রামের মন্তার বাড়িসংলগ্ন খালের ওপর সেতুর নির্মাণকাজ চলছে। কাজের মেয়াদ শেষ হলেও মাত্র পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েকজন শ্রমিক কাজ করছে। সেতুটির পশ্চিমপাশে তেমন কোনো জনবসতি নেই। আশপাশে কোনো রাস্তাও নেই। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১২ মিটার দৈর্ঘ্যরে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণে গত বছরের ২ আগস্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স বিলাস ট্রেডার্সকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। নির্মাণ ব্যয় ৯১ লাখ ৪৫ হাজার ৫৪২ টাকা দেখানো হয়েছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি কাজ শেষ করার নির্দেশনা থাকলেও কাজের মেয়াদ দুই মাস পেরিয়ে গেলেও সেতুর অর্ধেক কাজও হয়নি। ইতোমধ্যে কাজের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা জানায়, খালের পশ্চিমপাশে চর। বসতি তেমন নেই। বর্ষাকালে চরে যেতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। বর্ষা ছাড়া খালে পানিও থাকে না। অনেক স্থানে রাস্তা হওয়ায় খালটি এখন মৃতপ্রায়। গোবিন্দাসী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান দুলাল হোসেন চকদার বলেন, খালের পশ্চিমে বসতি রয়েছে। এলাকার মানুষ বাঁশের সাঁকোতে খাল পার হয়। চর থেকে ফসল আনতে মানুষকে কষ্ট পেতে হয়। জনদুর্ভোগ লাঘবে সেখানে সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুর কাজ শেষ হওয়ার পর রাস্তা করে দেওয়া হবে। ঠিকাদার আবদুল বাছেদ জানান, খালে পানি থাকায় কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। সেতুর সঙ্গে ১০০ মিটার রাস্তাও তৈরি করা হবে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) জহুরুল ইসলাম বলেন, সেতুর সঙ্গে ৭০-৮০ মিটার রাস্তাও নির্মাণ করবে ঠিকাদার। পরে অবশিষ্ট রাস্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রকল্পের মাধ্যমে তৈরি করবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমান জানান, সেখানে অবশ্যই রাস্তা হবে। সেতুর বিষয়ে পিআইও বিস্তারিত বলতে পারবেন।